Tuesday, April 30, 2024

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা ৫ টি চাকরি

বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থী চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, একটি চাকরি ছাত্র ছাত্রীদের পকেটের টাকা উপার্জনের সবথেকে ভাল মাধ্যম। উন্নত বিশ্বে কিশোর ছাত্র ছাত্রীরা গ্রীষ্মকালীন চাকরি, ইন্টার্নশিপ ইত্যাদির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। পার্ট টাইম কাজ করে, শিক্ষার্থীরা পকেট মানি পরিচালনা সহ শিক্ষাগত ব্যয় উপার্জন করতে পারে। এবং তারা তাদের পরিবারকে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়াও,পার্ট টাইম চাকরি করার ফলে, শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলা, টিম ম্যানেজমেন্ট, টিমওয়ার্ক এবং জ্ঞান অর্জনের মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এছাড়াও ঘরে বসে অনলাইনে কম খরচেই সেরা ১০ টি বিজনেস আইডিয়া পেতে ভিজিট করুন।

শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে এই ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতা  চাকরি খুজতে সাহায্য করবে। তাই পার্ট-টাইম চাকরি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং সবার জন্য যারা ভাল আয়, জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই।

  • টিউশন:

টিউশন

টিউশন সেবা থেকে টাকা উপার্জন এটা শিক্ষার্থীদের প্রাচীনতম পদ্ধতি। টিউশন প্রদানের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে, যার ফলে পরবর্তীতে তাদের বিসিএস এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় ভালো করতে সাহায্য করে। একটি পার্ট টাইম চাকরি হিসাবে, টিউশন খুবিই গুরুত্বপূর্ণ। আর পেশা হিসেবে শিক্ষকতা একটি সম্মানজনক চাকরি। তাই পেশা হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের এড-টেক ইন্ডাস্ট্রি টেন মিনিট স্কুল, শিখো এবং বোহুবরির মতো স্টার্ট-আপের মাধ্যমে সফলতা দেখেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল পেয়েছেন। যা প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষাদান প্রদানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা এই ক্রমবর্ধমান খাতে তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে। অন্যদিকে, এই প্ল্যাটফর্মগুলি ছাড়া পার্ট টাইম চাকরি হিসাবে টিউশন করে উপার্জনের জন্য অনলাইনে আরও অনেক পদ্ধতি রয়েছে।

  • রেস্তোরাঁ ব্যবসা:

রেস্তোরাঁ ব্যবসা

রেস্তোরাঁ ও ফাস্ট ফুড বাংলাদেশের অন্যতম উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। সুতরাং পশ্চিম দেশগুলিতে উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের উপার্জনের অন্যতম উৎস হল রেস্তোরাঁয় পার্ট টাইম চাকরি। প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আরও অনেকে এই শিল্পে পার্ট টাইম চাকরি করছেন। অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী বিদেশে রেস্টুরেন্ট এবং ফাস্ট-ফুড franchises এ কাজ করছেন। স্ট্যাটিস্টার মতে, 11 মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই সেক্টরে কাজ করছে। যা বিশ্বজুড়ে বড় বড় কোম্পানির অনেক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের প্রথম কাজের অভিজ্ঞতা হিসেবে রেস্তোরাঁর চাকরির কথা উল্লেখ করেছেন। 

বাংলাদেশে খাদ্য শিল্পের সম্প্রসারণের পর থেকে, আন্তর্জাতিক চেইন রেস্তোরাঁগুলির সাথে, অনেক শিক্ষার্থী  জ্ঞান, অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এই ধরনের রেস্তোরাঁয় পার্ট টাইম চাকরি করছেন। এই অভিজ্ঞতা পরবর্তী সময়ে হোটেল বা অতিথি আপ্পায়ন খাতে সুন্দর একটি কারিয়ার তৈরি করতে সাহায্য করবে। ফলস্বরূপ,রেস্টুরেন্ট শিল্প শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চাকরি প্রার্থীদের জন্য অর্থ উপার্জন ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । তদুপরি, একটি রেস্তোরাঁয় পার্ট টাইম চাকরি করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লিগিয়ে এবং এর সুবিধা-অসুবিধাগুলি জেনে একজন শিক্ষার্থী তার নিজের একটি রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

  • রাইড শেয়ারিং:

রাইড শেয়ারিং
রাইড-শেয়ারিং বর্তমান বিশ্বের দ্রুত উন্নতিশীল খাতগুলির মধ্যে একটি। পাঠাও রাইড-হেলিং সার্ভিস হিসেবে শুরু হওয়ার পর থেকে উবার এবং শোহোজের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি রাইড শেয়ারিং সেবা প্রদান করে আসছে।

রাইড-শেয়ারিং বর্তমান বিশ্বের দ্রুত উন্নতিশীল খাতগুলির মধ্যে একটি। পাঠাও রাইড-হেলিং সার্ভিস হিসেবে শুরু হওয়ার পর থেকে উবার এবং শোহোজের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি রাইড শেয়ারিং সেবা প্রদান করে আসছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে, যে কেউ, তাদের অবসর সময়ে সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারে। যদিও “রাইড-শেয়ারিং” এর ধারণাটি আগে আমাদের দেশে নিষিদ্ধ ছিল, ধীরে ধীরে এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলিতে রাইড-শেয়ারিং সেবার মাধ্যমে উপার্জনকারী অধিকাংশ মানুষ তাদের লক্ষে খুব সহজেই পৌছাতে পারে। তাছাড়া, পার্ট-টাইম  হিসেবে যে কেউ, অল্প সময়ের মধ্যে, রাইড-শেয়ারিং পরিষেবা থেকে একটি সম্মান জনক অর্থ উপার্জন করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ

ই-কমার্সের উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার সাথে ডেলিভারি পরিষেবার জন্য মানুষের চাহিদা ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে, অনলাইন ফুড অর্ডারিং প্ল্যাটফর্মগুলি রেস্টুরেন্ট বৃদ্ধির জন্যও খুবি গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ, আজকাল, খাবার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সবকিছুর জন্য অনলাইনে কেনাকাটা করছে এবং ডেলিভারি পরিষেবা প্রদানকারীরা প্রশংসিত পণ্য সরবরাহের জন্য গ্রাহকদের দ্বারে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছে।

সারা বিশ্বে কুরিয়ার এবং স্থানীয় ডেলিভারি পরিষেবা প্রদানকারীরা সম্পূর্ণভাবে একটি বিশাল শিল্প। প্রধানত ছাত্র এবং পার্ট-টাইমাররা বড় কোম্পানির শেষ মাইল ডেলিভারি কাজ করে। IBISWorld এর খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী 1 মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই শিল্পে কাজ করছে। Dhaka  ট্রিবিউনের আরেকটি নিবন্ধে পাওয়া তথ্য, বাংলাদেশের 100 লাখেরও বেশি মানুষ এই খাতের সঙ্গে জড়িত। কুরিয়ার সার্ভিস এবং ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডেলিভারির কাজ শিক্ষার্থীদের এবং খন্ডকালীন চাকরি প্রার্থীদের অবসর সময়ে আয়ের একটি বড় উৎস হতে পারে। ডেলিভারি শিল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে, শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে লজিস্টিক সেক্টরে চাকরির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।

  • ফ্রিল্যান্সিং

বর্তমানে পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণে অনেক মানুষ, তাদের ক্লান্তিকর ডেস্কের চাকরি ছেড়ে, ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদি কেউ ডাটা এন্ট্রি, কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, অ্যানিমেশন এবং প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা অর্জন করে, সেই দক্ষতাগুলি কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকটি মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। মার্কেটপ্লেসে দক্ষ কর্মী হিসেবে দেশের নামকরা কোম্পানিতে কাজ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ 

আমার শেষ কথা…

এই ছিল আজকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা ৫ টি চাকরি নিয়ে লেখা। আশা করি এই আইডিয়াগুলো আপনাদের ভাল লেগেছে। আপনাদের যদি কোন রকম প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

Businesses BDhttps://www.businesslinear.com/
Lorem ipsum is a placeholder text commonly used to demonstrate the visual form of a document or a typeface without relying on meaningful content

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles