Monday, April 29, 2024

এসইও (SEO) কি? এসইও কিভাবে করবো ২০২২?

এসইও (SEO) বলতে বুঝায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)। অর্থাৎ, সার্চ ইঞ্জিনগুলোর (গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি) জন্য ওয়েবসাইট / ব্লগসাইটকে উপযোগী করে তোলাকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও বলে। এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেটির মাধ্যমে যেকোন ওয়েব পেজ শত শত কিওয়ার্ডের জন্যে সার্চ ইঞ্জিনে জায়গা নিয়ে থাকে। যাকে আমরা ইংরেজিতে RANK বলে থাকি।

আজকে আমরা এসইও কি এবং Seo কেন করা হয়, সাথে সাথে এসইও কিভাবে করা যায়? আর কেনই বা আপনি এসইও শিখবেন? এসব জরুরী বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

এসইও SEO কি?

এসইও ২০২২। Seo এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Search Engine Optimization. আর Search Engine Optimization হচেছ এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েব সাইটকে বিনামূল্যে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারবেন। আমরা যখন গুগল কিংবা অন্য যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু লিখে Search দিই, ঠিক তখনি গুগল কিংবা ঐ সার্চ ইঞ্জিন কতগুলো রেজাল্ট দেখায়। সেখান থেকে আমরা আমাদের পছন্দমত লিংকে ক্লিক করে আমার কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আমাদের দরকারি তথ্য খুঁজে বের করতে পারি

Search Engine Optimization কথাটির উাতরে দুটি অর্থবহুূল অংশ রয়েছে। একটি হচ্ছে Search Engine এবং অন্যটি হচেছ Optimization তারমানে দাড়াচ্ছে seo হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন-কে অপটিমাইজেশন করার এক ধরনের প্রযুক্তিগত ওয়েব কৌশল। এটিকে অন্যভাবেও বলা যায়- বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন হতে কোন একটি ব্লগ/ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের ভাল অবস্থানে অথবা প্রথম পাতায় নিয়ে আসার কৌশল বা প্রক্রিয়াকেই Search Engine Optimization বলা হয়। এটিকে সার্চ ইঞ্জিন হতে ভাল ফলাফল পাওয়ার এক ধরনের নিয়মতান্ত্রিক চালাকিও বলতে পারেন।

এসইও SEO কেন করা হয়?

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের ভালো অবস্থানে বা প্রথম পাতায় নিয়ে আসার জন্য এবং সার্চ ইঞ্জিন হতে ভাল র‌্যাংকিং পাওয়ার জন্য বা সার্চ ইঞ্জিন হতে ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পাওয়ার জন্য মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) করা হয়। একজন লোক যখন তার ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করবে তখন সার্চ ইঞ্জিন হতে তার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর বাড়তে থাকবে। কারণ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) করার ফলে সার্চ ইঞ্জিন তার ব্লগের কন্টেন্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা পাবে। কাজেই যে কোন ওয়েবসাইট-কে সফল করতে হলে বা ওয়েবসাইট হতে আয় করার জন্য প্রতিনিয়তই সঠিকভাবে তার ওয়েবসাইটে এসইও করতে হবে।

সাধারণ সেন্সে চিন্তা করে দেখুন, আপনি যখন কোন একটি বিষয়ের উপর পোস্ট লিখবেন তখন সেই বিষয়ে অনলাইনে কি পরিমানে সার্চ করার হয়, কি কি Keyword লিখে সার্চ করা হয়, সেই বিষয়ে অনলাইনে কি পরিমান পোস্ট রয়েছে, কোন কোন ব্লগের পোস্ট আপনার নতুন পোস্টটির কম্পিটিটর হবে, আপনার কাঙ্খিত কীওয়ার্ড এর ভ্যালু কি পরিমান আছে, সেই কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করে পোস্ট র‌্যাংক করাতে পারলে কি পরিমানে ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ও কি পরিমান আয় করা সম্ভব হবে এবং সেই পোস্টটি র‌্যাংক করানোর জন্য কি পরিমান ব্যাকলিংক প্রয়োজন হবে ইত্যাদি বিষয়ে জানার জন্য SEO করা হয়ে থাকে। এই সবগুলো বিষয়কে সামারাইজ করে সংক্ষেপে বলা যায় যে, অনলাইন মর্কেটিং এ সফলতা পাওয়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে এবং সফলতা পাওয়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বিকল্প কিছু নেই।

SEO এর প্রয়োজনীয়তা কেন 2022?

যে কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর জন্য SEO এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি৷ কারণ কোন ওয়েব সাইটকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বা কোন ওয়েব সাইটকে মানুষের কাছে পরিপূর্ণ ভাবে উপস্থাপনার করার জন্য Seo এর বিকল্প নেই বললে ভুল হবে না, কেননা এই কথা আমরা একটু আগেই জানলাম যে Seo এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Search Engine Optimization। আর Search Engine হচ্ছে গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি। এদের কাজ হচ্ছে যে কোন ওয়েব সাইটের সকল তথ্য ধরে রাখা এবং যখনই কোন ব্যক্তি কোন ওয়েব সাইটের কোন তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইবে তখনই তা তার সামনে তুলে ধরা। 

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার একটা ওয়েব সাইট আছে আর কোন ব্যক্তি যদি সরাসরি আমার ওয়েব সাইট সম্পর্কে অথবা আমার ওয়েব সাইট সম্পর্কিত কোন শব্দ দ্বারা কোন ওয়েব সাইটকে Search Engine এর কাছে জানতে চাই তাহলেই কি Search Engine আমার ওয়েব সাইট টা তার সামনে তুলে ধরবে ? উত্তর হতে পারে হা অথবা না. যদি Search Engine এর কাছে আমার ওয়েব সাইট এর সমস্ত তথ্য থাকে এবং Search Engine এর কাছে আমার গুরুত্ব অন্য ওয়েব সাইট

অপেক্ষা বেশি থাকে কেবল মাত্র তখনই Search Engine আমার ওয়েব সাইট সবার উপরে রাখবে যেন সকলে আমার ওয়েব সাইট সর্ব প্রথমে দেখতে পায় ৷ 

এগুলো অবশ্যই পড়বেন—

Search Engine কি?

সহজ ভাষায় বলা যায় সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে ইন্টারনেটে কীয়ার্ডের মাধ্যমে কোন কিছু খোঁজার এক ধরনের সফটওয়ার বা এপ্লিকেশন। যেখানে কোন কিছু লিখে সার্চ দিলেই চোখের পলকে যে কোন বিষয়ে হাজার হাজার তথ্য আপনার সামনে হাজির করবে। সম্প্রতি সময়ের সবচাইতে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে Google। এ ছাড়াও জনপ্রিয়তার তালিকায় রয়েছে Google. Yahoo, Ask Yandex সার্চ ইঞ্জিন।

এসইও কত প্রকার ও কি কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় এসইও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তবে মৌলিক প্রকারগুলো আমরা আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

  1. টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO)
  2. অন-পেজ এসইও (On-Page SEO)
  3. অফ-পেজ এসইও (Off-Page SEO)
  4. কন্টেন্ট এসইও (Content SEO)
  5. ই-কমার্স এসইও (E-commerce SEO)
  6. লোকাল এসইও (Local SEO)
  7. মোবাইল এসইও (Mobile SEO)

White Hat ও Black Hat এসইও কি?

White-Hat-ও-Black-Hat-এসইও-কি

অভিজ্ঞ এসইও এক্সপার্টরা এসইওকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করেছেন। তবে যদিও এই দুই ভাগের একটি এখন অনেক ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে। তবে আরেকটি এখন সময়ের সাথে উন্নত কৌশলের  সাথে আবিষ্কার করা হয়েছে। আসলে মূলকথা হচ্ছে, সার্চ ইঞ্জিন তার RANKING এলগোরিদমে অনেক বদল করেছে যার ফলে এখন যেকোন কিওয়ার্ডের জন্যে RANK করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই নতুন নতুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসইওকে দুটি ভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কথা না বাড়িয়ে আসুন আমরা ওই দুই ধরনের এসইও সম্পর্কে জেনে নেই।

হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO):

হোয়াইট হ্যাট এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সেই সব পদ্ধতি যেগুলো সার্চ ইঞ্জিনের নির্দেশনা এবং নিয়ম অনুসরণ করে করা হয়। আর এই পদ্ধতিতে কাজ করলে স্বাভাবিকভাবে ভাল RANKING পাওয়া যায়। আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিনের নিয়মনীতি মেনে আপনার ওয়েবসাইটটিকে অপটিমাইজ করেন তাহলে আপনি সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভালো ট্রাফিক পাবেন বা ভিজিটর বাড়াতে পারবেন।

ব্ল্যাকহ্যাট এসইও (Black Hat SEO):

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও মূলত সার্চ ইঞ্জিনের নিয়মনীতি ভঙ্গ করে করা হয়। সার্চ ইঞ্জিনে তাড়াতাড়ি RANK  করার জন্যে অনেকেই কৃত্রিম ভাবে লিংক বিল্ডিং করে। মানে হচ্ছে, বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যাকলিংক তৈরি করে। মানুষ এটার প্রতি আগ্রহী হয় কারণ হচ্ছে, এই ধরনের সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে হাজার হাজার লিংক তৈরি করা যায় খুব অল্প সময় ব্যয় করে। আর এই বেশি লিংক ক্রিয়েট করে RANK করার জন্যেই মানুষ এই ব্ল্যাকহ্যাট এসইও করে থাকে।

তবে যদি সার্চ ইঞ্জিন কোনভাবে এইসব লিংকগুলোর ফুটপ্রিন্ট ধরে ফেলে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিন বাতিল করে দিবে। আর সার্চ ইঞ্জিনের প্রযুক্তি এখন অনেক উন্নত, যা খুব সহজেই এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলোকে খুব সহজেই বাতিল করে দেয়। আর একবার তা হলে ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনে পুনরায় RANK করানো খুবই কঠিন হয়ে যায়, অনেকক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না।

কেন এসইও SEO শিখবেন?

এসইও শেখা কেন জরুরী? এটি একটি জটিল প্রশ্ন। আসলে আপনি কেন এসইও শিখবেন সেটা কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন তাহলে আপনার এসইও শেখার কারণ হতে পারে, আপনার ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসার জন্যে।

আবার আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলেও আপনার জন্যে এসইও শেখাটা খুব জরুরী। কারণ এসইও শেখা ছাড়া আপনি কোনভাবেই ক্লায়েন্টদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা সঠিকভাবে দিতে পারবেন না। আসুন আমরা বিষয়টি উদাহরণের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করি।

আরো পড়ুন:-

কিভাবে এসইও SEO করবেন?

কিভাবে এসইও করা যায় বা আপনি যদি এসইও করতে চান তাহলে কিভাবে তা করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর আসলে অল্প কথায় দেয়া সম্ভব নয়। তবে আপনাকে একটা সার্বিক দেয়ার চেষ্টা করছি অল্প কথায়। আসুন শুরু করি, এসইও আসলে দুই ধরনের হয়ে থাকে, অনপেজ এসইও এবং অফপেজ এসইও।

অন-পেজ এসইও On Page SEO:

অন-পেজ-এসইও

অনপেজ এসইও মূলত সাইটের মধ্যে করা হয় যেমন কোন একটা টপিকে একটি আর্টিকেল লিখে সেই আর্টিকেলটিকে এসইও এর বিভিন্ন বিষয় প্রয়োগ করে প্রস্তুত করা হয়। যেমন, ইউআরএল, টাইটেল, এইচ ১, সাব হেডিং, বডি কন্টেন্ট, ইন্টারনাল লিংকিং, মেটা টাইটেল, মেটা ডেস্ক্রিপশন ইত্যাদি। এই অপটিমাইজেশনগুলো আপনি যত দক্ষতার সাথে করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে তত ভাল RANKING পাবেন।

এছাড়া ইকমার্স ওয়েবসাইটে, বিভিন্ন প্রোডাক্ট পেজ অপটিমাইজেশন করতে হয় যাতে ওই প্রোডাক্টটি সার্চ ইঞ্জিনে RANK করতে পারে। এক্ষেত্রেও ওই প্রোডাক্ট পেজের টাইটেল, প্রোডাক্টের টাইটেল, প্রোডাক্টের ডেস্ক্রিপশন, মেটা টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন ইত্যাদি বিষয়গুলো খুবই ভালভাবে করা হয়।

অফ-পেজ  এসইও Off Page SEO:

অফ-পেজ এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সেইসব প্রয়োগ, যেগুলো সাইটের বাইরে করা হয়। যেমন, সোশ্যাল শেয়ার, লিংক বিল্ডিং, সাইটেশন বিল্ডিং ইত্যাদি। এছাড়া ফাউন্ডেশন লিংক বিল্ডিং যেমন প্রোফাইল তৈরি, ডিরেক্টরি সাবমিশন, ফোরাম ব্যকলিংক বিল্ডিং ইত্যাদি।

মানে হচ্ছে, কোন ব্যক্তি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর হয়ে এসে আপনার কোন পেজ পড়ে আর সেটাকে অন্য জায়গায় মেনশন করে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার একটি ব্যকলিংক তৈরি হয়ে গেল। আরো সহজে বলতে গেলে, আপনার ওয়েবসাইটের লিংক বা ইউআরএল অন্য কোন ওয়েবসাইটে শেয়ার করার মানেই হচ্ছে লিংক বিল্ডিং।

আমার শেষ কথা…

এই ছিল আজকে এসইও (SEO) কি? এসইও কিভাবে করবো ২০২২ নিয়ে লেখা। আশা করি আপনার ভাল লেগেছে। আপনাদের যদি কোন রকম প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

Businesses BDhttps://www.businesslinear.com/
Lorem ipsum is a placeholder text commonly used to demonstrate the visual form of a document or a typeface without relying on meaningful content

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles