একটি স্বাধীন পেশায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করার স্বপ্ন মানুষের বহুদিনের। কিন্তু নিজের ইচ্ছামতো, নিজের কাজের মাধ্যমে একটি স্বাধীন পেশায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখতে কার না ভালো লাগে। নিজের স্বাধীন পেশা প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নের পালে হাওয়া ঢেলেছে ব্যবসা নামক সেক্টরটি। তাই আজকাল সময়ের সাথে সাথে ব্যবসা নামক ক্ষেত্রটি বৃহত্তর হয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে এই সকল খাতে।
তরুন যুবকেরা এখন স্বাধীনভাবে নিজের কাজকে উপভোগ করতেই বেশি পছন্দ করে। আর তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় তরুণরা নিজেই নিজের আলাদা ব্যবসা শুরু করতে বেশি আগ্রহ দেখায়।
সুতরাং, আপনি যদি ব্যবসা শুরু করে নিজেই নিজের বস হতে চান। তাহলে, আপনাকে এরকম কিছু লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া জানা দরকার, যাতে করে আপনি স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন কিন্তু সেটি আপনাকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যাবে। তাই ব্যবসা করার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া জানা থাকাটা জরুরি। আজকের লেখায় এমনি কিছু লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। ২০টি লাভজনক ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়া লেখাটি একবার পড়ে নিতে পারেন।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ১৫টি ব্যবসা:
১. অনলাইন স্টোর ব্যবসা আইডিয়া:
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় ব্যবসা গুলোর মধ্যে অনলাইন স্টোর অন্যতম একটি ব্যবসা। অল্প পুঁজি নিয়ে যদি কেউ ব্যবসা শুরু করতে চায় তাইলে, এর চেয়ে ভালো অপশন আর হবে নাহ। এর জন্য সবার প্রথমে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে একটা অনলাইন স্টোর বিল্ড করতে হবে।
যেটাকে আমরা ফেসবুক পেজ বা অন্য স্যোশাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে নাম ভিন্ন হতে পারে। পেজের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট টার্গেট কাস্টমারের নিকট কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে পারবেন।
পেইমেন্টাও অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। চাইলে আপনি নিজেই প্রোডাক্ট করে দিতে পারেন। এর বিনিময়ে সেই কোম্পানি আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন দিবে।
ব্যবসা বড় হলে আপনি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুলে নিতে পারেন৷ ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুলার সুবিধা অনেক। এরমধ্যে অন্যতম সুবিধা হল:
- কাস্টমারের আস্থা লাভ করা যায়।
- একসাথে সকল পণ্য কাস্টমারের খুঁজে পায়।
- নিজস্ব ব্রান্ড ভ্যালু ।
- কাস্টমার ধরে রাখার সুবিধা।
- টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে বুস্ট করা যায়।
- ভবিষ্যতে বিক্রি করে দেয়ার সুবিধা। অর্থাৎ, আপনি চাইলে আপনার
ওয়েবসাইট যেকোন সময় ভাল দামে বিক্রি করে দিতে পারবেন।
২.সুপার শপ ব্যবসা:
একটি ক্ষুদ্র আকারের সুপার শপ ব্যবসা বাংলাদেশের মধ্যে লাভজনক ব্যবসায়িক আইডিয়া৷ একটা উপযুক্ত অবস্থান এই ব্যবসায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি আবাসিক অঞ্চল হ’ল এই বিজনেস শুরু করার উপযুক্ত জায়গা।
৪৫০ থেকে ৫০০ বর্গফুট স্পেস নিয়ে একটি ছোট সুপার শপ শুরু করার জন্য উপযুক্ত। এই ব্যবসায় আপনাকে সহায়তার জন্য আপনি একজন বা দু’জন কর্মচারী নিযুক্ত করতে পারেন। একা একা এই বিজনেস পরিচালনা করা কঠিন হবে।
এই বিজনেস শুরু করতে বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হতে পারে ১,০০০,০০০ টাকা পর্যন্ত। আপনার এই ব্যবসাকে আরও লাভজনক করতে ঘরোয়া ডেলিভারির সুযোগ রাখতে পারেন। ফলে আপনার অতিরিক্ত ইনকাম তৈরি হবে। বর্তমানে সবাই ঘরে বসে বাজার করতে পছন্দ করেন সুতারাং নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ক্রেতারা এমন সুযোগ হাত ছাড়া করবেন না। ঠিক আপনিও ক্রেতাদের এমনকিছু সুযোগ উপহার হিসেবে দিয়ে মন জয় করে নিতে পারেন।
৩.অনলাইন কোর্স:
বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারিতে সমস্ত শিক্ষাকে ইন্টারনেটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যা অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম গুলোকে এক বিশাল উৎসাহ দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কোর্সের কথা বিবেচনা করুন, মার্চ এবং এপ্রিলের সময় নিবন্ধন গত বছরের তুলনায় ৬৪০% বেশি বেড়েছে। বর্তমানে অনলাইন কোর্সে অংশ নিয়েছে এমন গ্রাহকের সংখ্যা ৮.৭ মিলিয়ন।
আপনি যদি একটি অনলাইন কোর্স চালানোর কথা ভেবে থাকেন, তাহলে ইংরেজি শেখানো (বিশেষত অভিবাসীদের জন্য), নিউজ রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এসইও কোর্সগুলো চালু করতে পারেন।
আন্তর্জাতিক এবং লোকাল উভয় মার্কেটে এদের চাহিদা রয়েছে। সুতারাং এই বিষয়গুলোতে দক্ষ হয়ে খুব সহজেই কোন কোম্পানিতে খুব ভালো বেতনে জব করতে পারবেন। তাছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন খুব সহজেই।
৪. ব্লগিং:
ব্লগিং এমন একটা পেশা যেটা পুরোপুরি আপনার ইন্টারেস্ট এর উপর নির্ভর করে। আপনি আপনার কমফোর্ট জোনে বসে থেকে শেয়ার করতে পারবেন আপনার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের কথা। ফলে আপনি আপনার জ্ঞানকে পুরো দুনিয়ায় শেয়ার করতে পারবেন। শুধু তাই নয় আপনার লেখার স্কিল যদি ভালো হয় তাহলে, লেখালিখি করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
মানুষ আপনার দক্ষতার উপর নিভর করে আপনাকে হায়ার করবে এবং মাস শেষে একটা হ্যন্ডসাম সেলারি প্রদান করবে। আপনার ব্লগকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌছাতে হলে, আপনার কোয়ালিটি সম্পন্ন ইউনিক আর্টিকেল লিখতে হবে। সেটি হতে হবে SEO ফ্রেন্ডলি।
আরো পড়ুন:
৫. ফ্যাশন হাউস নিয়ে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা:
বর্তমানে ফ্যাশন হাউস ব্যবসা বাংলাদেশে খুব উপযুক্ত ব্যবসা। ফ্যাশন হাউস ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার কিছু পরিকল্পনা করা উচিত। বাংলাদেশে এই লাভজনক ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি নিখুঁত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রয়োজন। সুপার শপ ব্যবসায়ের মতো, সর্বনিম্ন বিনিয়োগ হয় ১,০০০,০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে এই বিজনেস শুরু করতে। অবস্থান এই ব্যবসায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
এটি শুরু করার জন্য আপনি একটা সঠিক অবস্থান খোঁজে বের করুন। তারপর আর অবহেলা করার কোনো প্রয়োজন নেই। খুব দ্রুত এই ব্যবসাটি শুরু করুন। আপনি চাইলে এটাকে ই-কমার্স বিজনেস হিসেবে একটি অনলাইন শপও চালাতে পারেন। বর্তমানে ক্রেতারা অনলাইন থেকে প্রচুর পণ্য কেনাকাটা করছে। যার ফলে এটির চাহিদা ভবিষ্যতেও তুমুল থাকবে। আপনি একটু সচেতন টাইপের হলে অবশ্যই এমন সুযোগ মিস করবেন না।
৬. শিশু এবং মায়েদের পণ্য ব্যবসা:
এটি মনে হবে সহজ ব্যবসা, তবে এটা এতোটা সহজ নয়। এই বিজনেস শুরু করার আগে আপনাকে পড়াশোনা করতে হবে। পণ্যগুলি খুব সংবেদনশীল। হাসপাতালের কাছাকাছি, একটি বৃহত আবাসিক অঞ্চল এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য সঠিক অবস্থান। এটি খুবই সুন্দর ক্ষুদ্র ও লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া বাংলাদেশ ভিত্তিক।
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনি আরও অনেকগুলো পণ্যের আইটেম এখানে যুক্ত করতে পারেন। তবে অবশ্যই পণ্যের মান শতভাগ ঠিক রেখে কাজ করার সামর্থ থাকতে হবে। মান সঠিকভাবে রেখে বন্টন করতে পারলে আপনি সফল একজন ব্যবসায়ী হিসেবে খুব দ্রুত পরিচিতি পাবেন।
৭. শিক্ষার্থীদের জন্য স্টেশনারি শপ ব্যবসা:
বাংলাদেশে আরও একটি ছোট লাভজনক ব্যবসায়িক ধারণা হচ্ছে স্টেশনারি শপ। এটি স্থানীয় ব্যবসায়ের ধারণা তবে খুবই লাভজনক। আপনার বিনিয়োগ কম থাকলে একটি স্টেশনারী শপই সেরা ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে। আর তাই স্কুল, কলেজ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি এই বিজনেস শুরু করা যাই।
স্টেশনারি পণ্যের মধ্যে সকল আইটেম রয়েছে সবগুলো আইটেমের ১২ মাস চাহিদা থাকে। আবার এগুলোতে ভালো লাভবান হওয়ার সুযোগও রয়েছে। যদি আপনি কম টাকা বিনিয়োগ করে একটা লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাহলে অবহেলা না করে খুব দ্রুত এমন একটা জায়গা নির্বাচন করে এই বিজনেসটি শুরু করুন।
৮. বাংলাদেশে ফাস্ট ফুড শপ ব্যবসা:
এটি এই তালিকার আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যবসায়ের ধারণা। বাংলাদেশের বেশিরভাগ তরুণ উদ্যোক্তারা এই লাভজনক ব্যবসায় আগ্রহী হয়ে থাকে।
বিশেষত, ঢাকার মতো বড় শহরগুলিতে আপনি একটি ফাস্ট ফুড শপের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই বিজনেসে ভাল পরিষেবা এবং অবস্থান সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। আমি মনে করি ন্যূনতম প্রায় ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে এই বিজনেস শুরু করতে পারেন খুব সহজেই।
ফুড ব্যবসার ক্ষেত্রে একটা বিষয় সবসময় দেখতে হবে। আর সেটা হচ্ছে খাবারের সঠিক মান। অবশ্যই শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে আপনাকে এই ব্যবসা করতে হবে। মানুষ বেশি টাকা খরচ করে খাবার ক্রয় করবে, যদি আপনি খাবারের সঠিক মান ঠিক রেখে কাজ করতে পারেন। সুস্বাস্থ্য হলো সুখী থাকার মৌলিক অংশ। ক্রেতারা সবসময় ৫ টাকা ১০ টাকা আপনাকে বেশি দিতে রাজি থাকবে যদি আপনি তাদের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত খাবার সার্ভ করতে পারেন।
৯. আচারের ব্যবসা আইডিয়া:
আচার বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা প্রচলিত এবং বহুল জনপ্রিয় খাবার। আমরা মুখরোচক জাতি হিসাবে পরিচিত এইটা সবাই জানে। আমাদের সবার বাড়ির রান্নাঘর অথবা ফ্রিজ খুঁজলে কয়েক প্রকারের আচার পাওয়া যাবে।
আপনি যদি ছোট কিছু শুরু করতে চান তাহলে এই আচারের ব্যবসা আপনার জন্য। এর জন্য আপনার কাছে ২০/৩০ হাজার টাকা পুঁজি হলেই যথেষ্ট। বিভিন্ন মৌসুমে যে ফলগুলো সহজলভ্য থাকে সেগুলো দিয়েই আপনি এই বিজনেসটা শুরু করতে পারেন।
জলপাইয়ের আচার, চালতার আচার সহ আরও হরেক প্রজাতির আচার বানাতে পারেন। আচারের মান ভালো হলে অনেক বড় বড় রেস্তোরা আপনার আচারের অর্ডার দিবে। তবে, এখানে যে জিনিসটা আপনার খেয়াল রাখতে হবে সেটা হল, আপনাকে কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে হবে এবং খাবারটি যেন পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়।
১০. ইউটিউব চ্যানেল:
ইউটিউব চ্যানেল স্টার্ট করা একটা সুন্দর ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে। যদি আপনি আপনার ফিল্ডে এক্সপার্ট হন, এবং আপনার চ্যানেলকে ভিজিটরের কাছে পৌঁছানোর জন্যে স্কিল থাকে তাহলে, এই পেশাটি আপনার জন্যে ৷
সেটা শিক্ষা নিয়েও হতে পারে,ফ্যাশন নিয়েও হতে পারে, টেকনোলজি নিয়েও হতে পারে আবার মোটিভেশনালও হতে পারে। ছোট ব্যবসা থেকে হাই প্রগ্রেস পেতে এইটা সব থেকে কার্যকরী প্লাটফর্ম।
“ইউটিউব কি?” এবং “কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে হয়?” – সে সম্পর্কে আমার ওয়েবসাইট এ অনেক গুলো আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে।
এজন্য আপনাকে এমন কন্টেন্ট নিয়ে ভিডিও বানাতে হবে যে বিষয়ে আপনি এক্সপার্ট। এই চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি নিজের ব্যবসাকে প্রমোট করার পাশাপাশি এডসেন্স এর মাধ্যমে মাস শেষে ৬ ডিজিটের সেলারি ইনকাম করতে পারবেন ।
আরো পড়ুন: ৩৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ পেলেন ‘ট্রাক লাগবে’ প্রতিষ্ঠানটি
১১.গাছ কেনা বেচা:
প্রকৃতিকে ভালোবাসেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ব্যস্ততার এই বেড়াঝালে মানুষ নিজেকে ফিরে পায় এই প্রযুক্তিতে। তাই আজকাল মানুষ গাছ রোপন করতে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে। আপনি যদি গাছ পছন্দ করেন তাহলে আপনি অল্প সময়ে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
১২. ডিসপেনসারি ব্যবসা:
বর্তমানে সময়ের সাথে সাথে ব্যবসার পরিধি বেড়েছে। করোনা মহামারী আমাদের জীবনে এক বড় শিক্ষা দিয়ে গেছে। প্রতিটি পরিবারে কখনো ওষুধের চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে করতে পারেন ডিস্পেন্সারির ব্যবসা। বিশ্বাস করুন এই ব্যবসায় আপনি কখনো ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। কারণ বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২১ হলো এই ব্যবসা।
১৩.কাপড়ের ব্যবসা আইডিয়া:
সেই খ্রিস্টপূর্ব থেকে চালু আছে কাপড়ের ব্যবসা। যদিও এইটা একটা কমন বিজনেস আইডিয়া। তবুও এটি একটি লাভজনক ব্যবসাও বটে। বলা হয়ে থাকে এটি একটা সুন্নতি ব্যবসা। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মত সা: এই ব্যবসা করতেন। তাই এই ব্যবসায় বরকত আছে। আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম আর সৎভাবে এই ব্যবসা করতে পারেন তবে আপনি সফলতা অবশ্যই পাবেন।
অতাএব, এর জন্য একটা ভালো পরিমাণ পুঁজির প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশের অনেক জায়গা আছে যেখানে কম টাকায় ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। সুতারাং সেই জাইগা থেকে পাইকারি দামে কাপড় কিনে আপনি আপনার নিজের শহরে অথবা এলাকায় বিক্রি করতে পারেন।
১৪.প্যাকেট তৈরি:
গ্রাম বা শহর সব জায়গার শাড়ি, জুতা, মিষ্টি, খাবার প্রভৃতির দোকানে প্যাকেট দরকার হয়। ভালো প্যাকেজিং ছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি সম্ভব হয় না। উন্নত মানের প্যাকেজিং বাক্স তৈরি করে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী বাজারজাত এবং আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট ব্যবহৃত হয়। যেমন- শাড়ীর বাক্স, জুতোর বাক্স, মিষ্টির বাক্স, বিরিয়ানীর বাক্স ইত্যাদি। মোটা, শক্ত কাগজ দিয়ে এসব প্যাকেট তৈরি করাকে প্যাকেজিং বলা হয়।”
১৫. মুদি দোকান:
মুদি পাইকারি বাজার কোথায় আছে?
“মুদি দোকান বলতে এমন একটি দোকানকে বোঝায় যেখানে নিত্য-প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী কিনতে পাওয়া যায়। যে কোনো বেকার নারী বা পুরুষ মুদি দোকানের মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ, ভারী কাজে অক্ষম ব্যক্তিরাও ঘরে বসে থেকেই মুদি দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।
জেনে নিন মুদি দোকানের আইটেম তালিকা। মুদি দোকানের যে সব পণ্য বিক্রি করা হয় তার চাহিদা সারাবছরই থাকে। এ ব্যবসায় লোকসানের সম্ভাবনা কম থাকে। মুদি দোকান মূলত হাটে, বাজারে বা রাস্তার মোড়ে দেখা যায়। অথবা বসতবাড়ির বাইরের অংশে মুদির দোকান দেয়া যেতে পারে।”
পরিশেষে:
এই ছিল আজকে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে লেখা। আশা করি আইডিয়াগুলো আপনার ব্যবসায়ে প্রয়োগ করতে পারবেন। নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে মাথায় রাখুন ১২টি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন।