জাস্টিন ট্রুডো একজন বহুল আলোচিত কানাডিয়ান রাজনীতিবিদ। তিনি কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে ২০১৫ সালে দেশটির ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জো ক্লার্কের পরেই তিনি কানাডার দ্বিতীয় কম বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রের কার্যভার গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি বৈশ্বিক রাজনীতিতে নিজের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করে মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন অসম্ভব জনপ্রিয় ও আস্থার প্রতীক। রোহিঙ্গা ইস্যু, সিরিয়া ইস্যু সহ নানা ইস্যুতে তিনি হয়েছেন নির্ভীক এবং বাস্তুহারা মানুষের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছেন সহমর্মিতার হাত।
তার পিতা পিয়ের ট্রুডোও কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ব্যক্তিজীবনে একজন নিরহংকারী মানুষ। যিনি তার দেশের স্বার্থে সততার সঙ্গে কাজ করেন। জাস্টিন ট্রুডো যেমন একজন সাধারণ মানুষের মতো চলাফেরা করেন তেমনি তিনি তার চলার পথে দেখা হওয়া সাধারন মানুষের সাথে মিশেন, কথা বলেন, তাদের ইচ্ছার প্রাধান্য দিয়ে সেলফি তুলেন । তার মধ্যে এমন মহৎ গুণগুলো আছে বলে কানাডার প্রত্যেকটি মানুষ , কানাডার যুব সমাজ , তদুপুরি সারাবিশ্বের মানুষ এখন তাকে ভালোবাসে। তিনি কখনও কখনও সাধারণ মানুষের মতো পায়ে হেঁটে তার কর্মস্থলে যায়। তিনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রত্যেক মানুষের খোঁজ খবর নেন। তিনি মাঝেমধ্যে সবার মতো লোকাল গাড়ি দিয়ে চলাফেরা করেন। অবসর সময়ে তিনি সাধারণ মানুষের সাথে সময় কাটান ।
প্রাথমিক জীবন:
-
জন্ম ও পূর্বপুরুষ
১৯৭১ সালের ক্রিসমাস দিবস তথা ২৫ ডিসেম্বর কানাডার অটোয়ায় জাস্টিন ট্রুডো জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম হচ্ছে জাস্টিন পিয়ের জেমস ট্রুডো। তার বাবা কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো। যিনি ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল এবং পরিষদ ৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। যাকে বলা হয় আধুনিক কানাডার জনক। তার মা মার্গারেট ট্রুডো একজন অভিনেত্রী,লেখিকা এবং সমাজ সেবিকা ছিলেন।
-
শৈশব:
জাস্টিন ট্রুডোর শৈশব কেটেছে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে। রোজ সকালে তিনি স্কুল বাসে করে অটোয়ার পাবলিক এরেমেন্টারি স্কুলে পড়াশোনা করতে যেতেন। দুপুরে লাঞ্চের জন্য আবার স্কুল বাসে করে বাসায় ফিরতেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি থেকে প্রথমে লিটারেচারের ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং পরে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ এডুকেশন ডিগ্রি লাভ করেন। গ্রাজুয়েশন শেষ করে জাস্টিন স্যার উইনস্টন চার্চিল সেকেন্ডারি স্কুলে গনিতের শিক্ষক হিসেবে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি montreal university অধীনে Montréal এর equal Polytechnique থেকে প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি mcgill university তে environmental জিওগ্রাফি বিভাগের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হন। কিন্তু সরকারি চাকরি পাওয়ার পর তিনি ব্যস্ততার কারণে এ কোর্স সম্পন্ন করতে পারেনি।
জাস্টিন ট্রুডোর পরিবার:
এই মহান ব্যক্তি তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন। কনিষ্ঠ ছিলেন মিশেল, যার জন্ম ১৯৭৬ সালে কিন্তু তিনি ২৩ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। তিনি পাহাড়ে স্কাই করে একটি তুষারপাতের কবলে পড়েছিলেন। আজ অবধি তার লাশ পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় ভাই আলেকজান্ডার, জাস্টিনের ঠিক ২ বছরের ছোট। তিনি ১৯৭৩ সালে ক্যাথলিক ক্রিসমাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আলেকজান্ডার পরিচালনা ও সাংবাদিকতার সাথে জড়িত।
ট্রুডো ২০০৫ সালের মে মাসে নিজের পরিবার তৈরি করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী ছিলেন বিখ্যাত মডেল এবং উপস্থাপিকা সোফি গ্রেগোয়ার। রাজনীতিকের স্ত্রীও একজন শংসাপত্রযুক্ত যোগ প্রশিক্ষক, তাঁর শখ ছিল সংগীত রচনা করা। জাস্টিন এবং সোফি দুটি ছেলে (৯ এবং ২ বছর বয়সী) এবং কমনীয় সাত বছরের মেয়ে এলা-গ্রেস মার্গারেটকে বড় করছেন।
জাস্টিন ট্রুডোর ব্যক্তিগত জীবন:
ব্যক্তিগত জীবনে ট্রুডো ২০০৫ সালে কানাডার টিভি ও রেডিও হোস্ট সোফি গ্রাগোয়েরকে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতির তিনজন সন্তান ছিল- জাভিয়ের, ইলা-গ্রেস এবং হ্যাড্রিয়েন । ২০১৪ সালে ট্রুডো তাঁর স্মৃতিচারণ ‘কমন গ্রাউন্ড’ প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন । ২০২০ সালের শুরুর দিকে করোনা-ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ট্রুডোর বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছেছিল। এবং ঘোষণা করা হয়েছিল যে, তাঁর স্ত্রীর করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে। যা প্রধানমন্ত্রীকে দুই সপ্তাহের জন্য নিজেকে তার স্ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে বাধ্য করেছে ।
আরও পড়ুনঃ
-
অন্যরকম উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসান সোহাগ এর জীবনী
-
থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন, বিলাসবহুল জীবনযাপনে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি তাঁর
জাস্টিন ট্রুডো যেভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন:
পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কিংবা দলের প্রধান হননি ট্রুডো। কানাডায় এ ধরনের সংস্কৃতি চালু নেই। এই অবস্থানে জাস্টিন ট্রুডো নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই এসেছেন। বিরোধীরা তার নামে অনেক অপবাদ ছড়ালেও কানাডার সাধারণ মানুষ তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিল।
বাবার মৃত্যুর পরই ক্রমশ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ট্রুডো। ২০০৮ সালে মন্ট্রিয়লের পাপিনিউ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির প্রধান নেতা নির্বাচিত হন। জাস্টিন ট্রুডো এর আগে ২০১১ সালে দেশটির জাতীয় নির্বাচনে আবারও নির্বাচিত হন একই এলাকা থেকে। কিন্তু তার দলের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। ওই নির্বাচনে মাত্র ৩৬ টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে চলে যায় দলটি। সে-সময় দলের নেতৃত্বে ছিলেন মাইকেল ইগনাটিফ। নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলের নেতৃত্ব থেকে মাইকেল পদত্যাগ করেন। তখন অনেকেই জাস্টিনকে নেতৃত্ব নেওয়ার কথা বললেও তিনি রাজি ছিলেন না। ২০১৩ সালে তিনি পার্টি লিডার পদের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং বিপুল সমর্থন পেয়ে প্রধান নির্বাচিত হন। দলের প্রধান হওয়ার পর ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসে তার দল। সেবার তার দল আসন পায় ১৮৪টি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭০ টি আসনের। এই নিরঙ্কুশ বিজয়ে ট্রুডোর ইতিবাচক প্রচারণাই বড় ভূমিকা রেখেছিল।
রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই নানাভাবে মিডিয়ার আলোচনায় এসেছেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ছেলে এই পরিচয় ছাড়াও তার নিজেরও একটা ক্যারিশমাটিক পরিচিতি গড়ে উঠেছিল। ২০০৮ সালে রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায় তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হয়েছিল। তবে সেই নির্বাচনেই তিনি প্রভাবশালী এক প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। সেই সময় কানাডার প্রভাবশালী পত্রিকা গ্লোব অ্যান্ড মেইল-এর প্রধান সম্পাদক এডওয়ার্ড গ্রিনস্পন তার সম্পাদকীয়তে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। অন্য কয়েকজন নতুন নির্বাচিত এমপির মতো জাস্টিন ট্রুডোরও সম্ভাবনা রয়েছে আগামীতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। পত্রিকাটি বিরোধী ঘেঁষা হয়েও ট্রুডোর প্রসঙ্গে এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল।
-
বিরোধী দল (২০০৮-২০১৫)
২০০৮ সালের ১৪ই অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। এর জন্য প্রায় এক বছর ধরে জাস্টিন ট্রুডো প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
নির্বাচনে ট্রুডো জয়যুক্ত হন। তার জয়কে নিয়ে দ্যা গ্লোব এন্ড মেইল পত্রিকার প্রধান সম্পাদক লিখেন, “ট্রুডো আর অল্প সংখ্যক নতুন এমপিদের একজন যার মাঝে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর ছায়া দেখা যায়। উক্ত নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি সরকার গঠন করলে ট্রুড বিরোধী দলীয় এমপি হিসেবে সংসদের প্রবেশ করেন।
লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব:
ডায়োনের অবসরের পর ২০০৮ সালে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণের সুযোগ আসে জাস্টিন ট্রুডোর হাতে । অন্য সব প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে তিনি লিবারেল পার্টির একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে স্বীকৃত পান।
কিন্তু তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন না বরং ইগ্নাটিফ নেতা হিসেবে ২০০৮ সালে ডিসেম্বরে লিবারেল পার্টির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে লিবারেল পার্টির শোচনীয় অবস্থার পর ইগ্নাটিফ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। জাস্টিন ট্রুডো পুনরায় লিবারেল পার্টির অবশ্যম্ভাবী নেতা হিসেবে উঠে আসেন।
২০১৩ নির্বাচনের নেতৃত্ব:
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরেই একাধিক মাধ্যমে বলা হয় জাস্টিন ট্রুডো এবারের নির্বাচনে লিবারেল পার্টিকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। যদিও তার যোগ্যতা নিয়ে সব সময়ই সমালোচকদের প্রশ্ন ছিল। পার্লামেন্টে থাকা অবস্থায় তাকে কখনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমনঃ অর্থনৈতিক বা পররাষ্ট্রনীতি ব্যাপারে কথা বলতে দেখা যায় নি। অনেক পণ্ডিত মনে করেন তার সেলিব্রিটিসুলভ স্ট্যাটাসের কারণে তিনি ততোধিক জনপ্রিয়। আর একারণে হয়তো আরো অভিজ্ঞ ও পটু নেতৃত্ব থেকে কানাডা বঞ্চিত অতে পারে।
২০১৫ ফেডারেল নির্বাচন:
২০১৫ সালের ১৯ শে অক্টোবর জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি ফেডালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। ৩৩৮ টি আসনের মাঝে ১৮৪টি আসন লিবারেল পার্টি অধিকার করে। যা পূর্বের ২০১১ সালের নির্বাচনের তুলনায় অনেক বেশি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক:
পরের বছর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে ট্রুডোর মাঝে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সংঘাত ঘটেছিল । পরের বছর ২০১৬ তে ট্রাম্প একটি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন যাতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলিকে টার্গেট করা হয়েছিল । আরও খারাপ ভাবে ২০১৮ সালে অনুসরণ করা হয়েছিল, যখন হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছিল যে এটি ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে কঠোর শুল্ক আরোপ করছে। ট্রুডো এবং ফরাসী রাষ্ট্রপতি এমমানুয়েল ম্যাক্রন উভয়ই ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছিলেন। এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জুনের জি-7 শীর্ষ সম্মেলন তাড়াতাড়ি ছাড়ার ঘোষণা দিতে প্ররোচিত করে । ট্রাম্পের প্রস্থান শেষে ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, কানাডা ১লা জুলাই প্রতিশোধমূলক শুল্ক আদায় করবে । আমি রাষ্ট্রপতির কাছে খুব স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, এটা করা আমাদের জন্য আনন্দিত হওয়ার কিছু নয়। তবে এটি অবশ্যই করবো কারণ আমরা কানাডিয়ান । তিনি বিনীতভাবে বলেছেন, “আমরা যুক্তিসঙ্গত, কিন্তু আমাদের চারপাশে ঠেকানো যাবে না।
নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি:
কানাডার নতুন প্রজন্ম আস্থা রেখেছে জাস্টিন ট্রুডোর ওপর। তিনি দেশটির নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি। গাঁজা বৈধ করার পক্ষে তিনি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিরোধীরা তার এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে অনেক হাসিঠাট্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি তার কথা রেখেছেন। জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ কানাডিয়ান গাঁজা সেবনকে বৈধ করার পক্ষে অথবা অন্তত এটিকে অপরাধ হিসেবে না দেখার পক্ষে।
ট্রুডো একজন সৌখিন বক্সারও। কয়েক বছর আগে অটোয়াতে বিরোধী দলের সিনেটর প্যাট্রিক ব্রাজিওর সঙ্গে এক চ্যারিটি বক্সিং ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে প্যাট্রিকের নাকও ফাটিয়ে দিয়েছেন। তার বাম বাহুতে একটি ট্যাটুও খোদাই করা। রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা আছেন তাদের মধ্যে এই ধরনের বৈশিষ্ট্যের আর কোনো নজির নেই বলে মন্তব্য করেছে বিবিসি।
শুধু তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিই নয়, বিশ^নেতার সব গুণাবলিই তার মাঝে আছে বলে মনে করেন সমালোচকরা। ২০১৭ সালে কয়েকটি মুসলিম দেশের শরণার্থী এবং অভিবাসীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শরণার্থীদের তিনি নিজ দেশে স্বাগত জানান।
একটি টুইট বার্তায় তিনি লিখেন, ‘ধর্ম বিশ্বাস যাই হোক না কেন নির্যাতন, সন্ত্রাস ও যুদ্ধপীড়িত অঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা কানাডায় স্বাগতম। বৈচিত্র্য আমাদের শক্তি।’
শরণার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও লিখেন, ‘আপনাদের জন্য কানাডার দরজা খোলা।’ এ জন্য তিনি হ্যাশট্যাগ ‘ওয়েলকামটুকানাডা’ চালু করেন।
সোর্সঃ গুগল, ইউটিউব, ব্লগ, আর্টিকেল